বিদ্যুৎ আমাদের কতটা আপন হয়ে দাঁড়িয়েছে তা একমুহূর্তের লোডশেডিং হলেই ঠের পাওয়া যায়। নগরজীবনের অন্যতম প্রধান আনুষঙ্গিক হচ্ছে কারেন্ট বা ইলেক্ট্রিসিটি। বাসা-বাড়িতে নানাকাজে নানাভাবে আমরা বিদ্যুৎ ব্যাবহার করে থাকি। কিন্তু একটু বেখেয়ালির জন্য হয়তো ঘটে যাচ্ছে মারাত্মক সব দুর্ঘটনা। নাগিরিক জীবনের প্রায় শতভাগ অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে বিদ্যুতের সর্ট সার্কিটকেই দায়ী করা হয়। এছাড়াও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবরও কিন্তু কোন অংশে কম শোনা যায় না। আর তাই আজ আমারা এমন কছু বিষয় নিয়ে কথা বলব যেগুলো ফলো করলে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে বেচে যেতে পারে আপনার আপনজনের জীবন ও সখের সম্পত্তি।
চলুন এক এক করে জেনে নেই কী করলে আমারা আমাদের বাসা-বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ ও ব্যাবহার নিরাপদ রাখতে পারি।
1/ ওভারলোডিং এড়িয়ে চলুন
ওভারলোডিং এর কারণে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিতে পারে। তাই হাই ভোল্টেজ এর কিংবা অনেক ডিভাইস কানেকশন দেওয়ার আগে ভালকরে কানেকশনের ভোল্টেজ ক্যাপাসিটি জেনে নিন।
2/ অব্যাবহৃত কানেকশন আনপ্লাগ করুন
ব্যবহারের পর আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসটি আনফ্লাগ করুন। আবার যখন প্রয়োজন হবে কানেকশন প্লাগইন করুন। অহেতুক সামান্য আলসেমির জন্য রিস্ক নিতে যাবেন না।
3/ সঠিক ওয়াট ব্যাবহার করুন
আপনার বাসার লাইট ফ্যান টিভি ফ্রিজ যাই ব্যাবহার করেন না কেন প্রত্যেকটি ডিভাইসের জন্য সঠিক ওয়াট নিশ্চিত করুন। ওয়াটের তারতম্য হলে দুর্ঘটনার ঘটার পাশাপাশি বাড়তে পারে ইলেক্ট্রিক বিলের সম্ভাবনা।
4/ কর্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
5/ ক্ষতিগ্রস্ত কর্ড সরিয়ে রাখুন
বিশেষজ্ঞদের অভিমত বাড়ির এবং ওয়াল্ডিং এর ধরণ অনুযায়ী বছরে একবার হলেও কর্ড পরীক্ষা করুন। কোন স্থানে ত্রুটি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তা সরিয়ে নতুন কর্ড যুক্ত করুন। কখনোই অতিরিক্ত জোড়াতালি দিয়ে কর্ড ব্যাবহার করবেন না। কেননা যে স্কসটেপ দিয়ে জোড়া লাগানো হয় তার স্থায়িত্ব সর্বোচ্চ তিন থেকে ছয় মাস। তারপর সেটি নষ্ট হয়ে সর্ট সার্কিটের সম্ভাবনা তৈরি করে।
6/ পানি থেকে দূরে রাখুন
ভিজা ও স্যাতস্যাতে কানেকশন |
পানি একটি বিদ্যুৎ সুপরিবাহী পদার্থ। অর্থাৎ পানি দিয়ে অনায়েসেই বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে। তাই ওয়াশরুম, কিচেনরুমসহ যেকোন স্থানেই ইলেক্ট্রিক ক্যাবল বা প্লাগ পানির সংস্পর্শে আসতে পারে। তাই কানেকশন দেওয়া-নেওয়ার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। কখনোই ভিজা বা স্যাতস্যাতে অবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিবেন না। |
7/ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন
শিশুরা স্বভাববতই চঞ্চল হয়। যেকোনো জিনিস সামনে
পেলেই তারা ধরতে চায়, মুখে নিতে চায়। আর তাই আপনার বাসায় যদি কোন শিশু থেকে থাকে তাহলে বাসার যাবতীয় বিদ্যুৎ কানেক্টিভিটি তাদের থেকে দূরে রাখুন বা শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। মনে রাখবেন একই ব্যাপার কিশোর-কিশোরিদের জন্যও প্রযোজ্য।
8/ টেকনেশিয়ানের সহযোগিতা নিন
9/ মেইন সুইচ অফ রাখুন
এই ব্যাপারটি আমরা তেমন খেয়াল করি না। যখন আমরা কোথাও ঘুরতে বা বেড়াতে যাই তখন শুধু সুইচ অফ করেই আমরা বেরিয়ে পরি অথচ আমাদের লাইট, ফ্যান, সুইচের কানেকশন রয়ে যায়। এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ ভোল্টেজ আপ-ডাউনের কারণে অনেক সময় শর্টসার্কিট হয়ে খালি বাসায়ই অগ্নিসংযোগ হতে পারে। তাই বেড়াতে যাওয়ার আগে আপনি আপনার বাসার মেইন সুইচ অফ করে যান। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি নিরাপদ থাকবে আপনার সখের আবাসভূমি।
সর্বোপরি মাইকেল ফ্যারাডে বিদ্যুৎ আবিস্কার করেছিল বলেই পৃথিবীতে এত শিল্প বিপ্লবের ছোয়া। নগর জীবনে বিদ্যুৎ যেমন আমাদের চলা কঠিন ঠিক তেমনি ভয়ানক। আর বিদ্যুৎ ব্যাবহারে একটু সচেতন হলে দুর্ঘটনার হার যেমন কমে যায় তেমনি হয় সাশ্রয়।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ আবিস্কারক কে, বিদ্যুৎ বিল, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বিদ্যুৎ আবিস্কার করেন কে, বিদ্যুৎ বিলের হিসাব, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিল, বিদ্যুৎ জ্বালানি, বিদ্যুৎ অফিস ফোন নাম্বার, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ আইন, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র, electricity bill per unit, electricity office contact number, বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের হিসাব, পল্লী বিদ্যুৎ ইউনিট রেট, অবৈধ বিদ্যুত, বিদ্যুৎ সংযোগ নীতিমালা, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নিয়ম, বিদ্যুৎ বিল জরিমানা কত ইত্যাদি জানতেই হবে।
Nice writting
উত্তরমুছুন