মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী সম্পত্তির বন্টননীতি । কোরআন-সুন্নাহর আলোকে।
কোরআন-হাদিসের আলোকে সম্মত্তির ভাগ বাটোয়ারা।উত্তরাধিকার আইন |
পবিত্র কোরআনে মহান রাব্বুল আলামিন এ ব্যাপারে ঘোষণা করেন-
অনেকেই তোমার কাছে বন্টন-বিধান সম্পর্কে জানতে চায়। হে নবী, তাদের বলো, আল্লাহ বিধান দিচ্ছেন যে, যদি কোনো নিঃসন্তান ব্যক্তি মারা যায় যার মা-বাবা মারা গেছে, তার একজন বোন থাকলে সেই বোন তার সম্পত্তির অর্ধেক পাবে। আর বোন যদি সন্তানহীন অবস্থায় মারা যায় তবে তার ভাই তার উত্তরাধীকারী হবে। মৃতের উওরাধিকারী যদি দুই বোন হয় তবে তারা সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগ পাবে। আর যদি কয়েকজন ভাইবোন থাকে তবে বোনেরা একভাগ আর ভাইয়েরা দুভাগ পাবে, আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাঁর বিধান সুস্পষ্টভাবে বয়ান করেছেন, যাতে তোমরা পথভ্রষ্ট না হও। আর আল্লাহ সবকিছুই জানেন। [সূরা নিসা, আয়াত ১৭৬]
- এক বোন থাকলে সেই বোন পাবে অর্ধেক।
- দুই বোন থাকলে তারা পাবে তিন ভাগের দুই ভাগ।
- কয়েকজন ভাই-বোন থাকলে ভাইয়েরা বোনদের দ্বিগুণ পাবে।
সূরা নিসার ১১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেন-
আল্লাহ তোমাদের সন্তান্দের (সম্পত্তির উত্ত্রাধিকারি করার) ব্যাপারে বিধান দিচ্ছেনঃ এক ছেলে পাবে দুই মেয়ের অংশের সমান, শুধু মেয়ে দুই এর বেশি রেখে গেলে তারা পাবে রেখে যাওয়া সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ, আর যদি এক মেয়ে থাকে তবে সে পাবে অর্ধেক। তার সন্তান থাকলে তার পিতামাতা প্রত্যেকেই সম্পদের এক ষষ্ঠমাংশ; সে নিঃসন্তান হলে যদি শুধু পিতামতা তা্র উত্ততাধিকারী হয় তবে মা পাবে এক তৃতীয়াংশ; কিন্তু যদি তার ভাইয়েরা থাকে তবে তার মা পাবে এক ষষ্ঠাংশ; অবশ্য এ সবই হবে মৃত ব্যাক্তির অসিয়তের দাবি পূ্রণ ও ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতামতা ও সন্তান্দের মধ্যে উপকারের দিক থেক কে তোমাদের বেশি আপন, তা তোমরা জানো না। এই হচ্ছে আল্লাহর বিধান। আল্লহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। " [সূরা নিসা, আয়াত ১১]
অর্থাৎ
- মৃত ব্যক্তির মা-বাবা জীবিত থাকলে এবং সন্তান রেখে গেলে- মা-বাবা প্রত্যেকেই পাবে ৬ ভাগের এক ভাগ।
- মৃত ব্যক্তির মা-বাবা জীবিত কিন্তু সন্তান রেখে না গেলে এবং ভাইয়েরা না থাকলে- মা পাবে ৩ ভাগের এক ভাগ।
- মৃত ব্যক্তির মা-বাবা জীবিত কিন্তু সন্তান রেখে না গেলে এবং ভাইয়েরা না থাকলে- মা পাবে ৬ ভাগের ১ ভাগ।
আবার একই সূরার ১২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন-
"তোমাদের স্ত্রীদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির অর্ধেক তোমাদের জন্যে, যদি তারা নিঃসন্তান হয়। তাদের সন্তান থাকলে রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক চতুর্থাংশ তোমারা পাবে, অসিয়ত পালন ও ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের সন্তান না থাকলে স্ত্রীরা পাবে রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক চতুর্থাংশ, যদি একটি সন্তান থাকে তবে রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক অষ্টমাংশ স্ত্রীরা পাবে, তোমাদের অসিয়ত পালন ও ঋণ পরিশোধের পর। আর যদি কোনো পুরুষ বা মহিলা নিঃসন্তান হয় এবং মা-বাবাও মারা গিয়ে থাকে কিন্তু এক ভাই বা বোন জীবিত থাকে তবে তারা প্রত্যেকে পাবে এক ষষ্ঠাংশ, আর যদি তারা সংখ্যায় বেশি হয় তবে তারা এক তৃতীয়াংশ পাবে, তবে সবটাই হবে অসিয়ত পালন ও ঋণ পরিশোধের পর- কারো অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে। এই হচ্ছে আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, পরমসহনশীল।" [সূরা নিসা, আয়াত ১২]
অর্থাৎ
- নিঃসন্তান স্ত্রী মারা গেলে- স্বামী পাবে অর্ধেক।
- সন্তান রেখে স্ত্রী মারা গেলে- স্বামী পাবে ৪ ভাগের ১ ভাগ।
- নিঃসন্তান স্বামী মারা গেলে- স্ত্রী পাবে ৪ ভাগের ১ ভাগ।
- সন্তান রেখে স্বামী মারা গেলে- স্ত্রী পাবে ৮ ভাগের ১ ভাগ।
- মৃত ব্যাক্তির মা-বাবা মারা গিয়ে থাকলে এবং সে নিঃসন্তান হলে যদি তার এক ভাই বা এক বোন জীবিত থাকে- তারা পাবে ৬ ভাগের ১ অংশ।
- আর যদি ভাই-বোনের সংখ্যা বেশি হয়- তারা পাবে ৩ ভাগের ১ অংশ।
(উত্তরাধিকারের ব্যাপারে) এই হচ্ছে আল্লাহর নির্ধারিত বিধান । আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন , যার পাদদেশে থাকবে প্রবাহমান ঝর্ণাধারা । সেখানে তারা থাকবে চিরকাল । প্রকৃতপক্ষে এটাই আসল সাফল্য। [সূরা নিসা, আয়াত ১৩]
[এ সবই হবে মৃত ব্যক্তির অসিয়ত পূরণ ও ঋণ পরিশধের পর]
Onek kichui janlam. Allah amader sobaike bujhar taoufic dan korun. Ameen.
উত্তরমুছুন