‘স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদ লিউক কাটিনহো এরকম কিছু খাবারের নাম জানান, যেগুলো ইন্সুলিন তৈরিতে বিশেষ প্রভাব রাখে।
১। লাল বাঁধাকপি
ক্যান্সার আক্রান্ত কিংবা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বাঁধাকপি, বিশেষ করে লাল বাঁধাকপি অত্যন্ত উপকারী। এই সবজিতে থাকা লাল পিগমেন্ট বা রঞ্জক পদার্থ ‘বিটালিন্স’ প্রাকৃতিকভাবে আমাদের রক্তের শর্করার পরিমাণ কমিয়ে ইন্সুলিনের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে।
২। ঢেঁড়স
পিচ্ছিল ও আঁশযুক্ত এই সবজির বীজে আছে ‘আলফা-গ্লুকোসিডেইস ইনহিবিটর’, যা স্টার্চ বা শ্বেতসারকে গ্লুকোজে পরিণত হতে দেয় না। ঢেঁড়স রক্তে সুগারের মাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে ইন্সুলিনের উৎপাদন অথবা নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি এমন এক সবজি যাচাইলে কাঁচা-ঢেড়স ফালি করে কেটে খাওয়া যায়। সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পানিটুকু পান করা যেতে পারে।
৩। করলা
করলার গুণাগুন কমবেশি আমরা সবাই জানি। স্বাদে কিছুটা তিক্ত হলেও অগ্ন্যাশয়কে উত্তেজিত করতে পারে খুব সহজে। এতে থাকে অত্যাবশ্যকীয় তিনটি উপাদান যথা- ‘চারানটিন’, ‘ভিসিন’ ও ‘পলিপেপটাইড-পি’।সাধারনত ভাঁজি করেই খাওয়া হয়। যদি কেউ এক কাপ করলার শরবতে ১ টেবিল-চামচ আমলকির রস মিশিয়ে পান করে তাহলে তা ইন্সুলিন সৃষ্টিতে অধিক কার্যকর
৪। মেথি বীজ
মেথি বীজ এ থাকে ‘ট্রাইগোনেলিন’, যা আমাদের রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। চাইলে বিভিন্নভাবেই গ্রহণ করা যায়। কেউ চাইলে মেথি বীজের গুঁড়া গরম পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন। অথবা রাতভর পানিতে ভিজিয়ে পরদিন সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
৫। হলুদ
আদিকাল থেকেই হলুদ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই মসলায় থাকা ‘কারকিউমিন’ সরাসরি অগ্ন্যাশয়ের ‘বেটা সেল’কে উত্তেজিত করে ইন্সুলিন সৃষ্টিতে সাহায্য করে থাকে।
৬। দারুচিনি
দারুচিনি মশলাটি কোষকে ইন্সুলিনের প্রতি সংবেদনশীল করে। আবার অগ্ন্যাশয়ে ইন্সুলিন তৈরি করতেও সাহায্য করে। রান্নায় কিংবা চায়ে দারুচিনি ব্যবহার করা যায়।
৭। জারুল
ইন্সুলিন গাছ হিসেবে পরিচিত এই গাছের পাতা র ভূমিকা তুলনাহীন। এটি অগ্ন্যাশয়ের ‘বেটা সেল’কে দারুণভাবে সক্রিয় করে। জারুলে থাকা ‘কোরোসোলিক অ্যাসিড’ ইন্সুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা চিনির পরিমাণ। এছাড়াও এটি রক্তে চর্বি ও কোলেস্টেরলের মাত্রায় কমায়, মূত্র বাড়ায়, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল, ক্যান্সার প্রতিরোধে ভুমিকা পালনকরে। অন্তত প্রতিদিন সকালে দুএকটি জারুল গাছের পাতা চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
এগুলো ছাড়াও আঙুর, অ্যালোভেরার সরবত ইন্সুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে। তবে যারা নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।
ধন্যবাদ
#ইনসুলিন #ডায়বেটিস
ডায়াবেটিস
কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়, ইনসুলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ইনসুলিন কিভাবে কাজ
করে, ইনসুলিন কাকে বলে, ইনসুলিন কি প্রোটিন, ইনসুলিন কিভাবে দেয়, ইনসুলিনের
ডোজ, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কি,ডায়াবেটিস মাত্রা, ডায়াবেটিস সারানোর উপায়,
ডায়াবেটিস লক্ষণ, ডায়াবেটিস রোগীর খাবার, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, ডায়াবেটিস
কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়, ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, ডায়াবেটিস হলে করণীয়।
Janlam
উত্তরমুছুনJana cilo na
উত্তরমুছুন